১.
একশহরে দুই জমজ ভাই
ছিল। বব আর জন। বব
বিয়ে করেছিল
লিসা নামের
একটা মেয়েকে।
কাকতালীয়ভাবে জনের
লিসা নামে একটা ফিসিং বোট
ছিল।
আরো কাকতালীয়ভাবে ববের
বউ লিসা যেদিন
মারা যায় ঠিক সেইদিন
জনের নৌকা লিসাও
ডুবে যায়।
কয়েকদিন পর, শহরের
এক
বৃদ্ধা মহিলা জনের
সাথে দেখা হলো। জন
তার
নৌকা লিসাকে হারিয়ে খুব
একটা দুঃখ পায় নাই।
এদিকে মহিলা ভেবেছে এইটা বব।
ববের বউ মরায়
সে নিশ্চয়
কষ্টে আছে।
মহিলা বলল “আহা!
কিরে পোলা, লিসার
জন্য কষ্ট হয় রে?”
জন বলল, তেমন একটা হয়
না।
কি বলিস ছোকরা!
আরে বলবেন না, যেদিন
থেকে লিসা আমার হলো-
সেদিনই আমি টের
পেলাম আসলে লিসা বেশ
খারাপ মাল। তার
নিচটা বেশ ময়লা-
পচা মাছের গন্ধ
পেতাম। যেদিন
আমি প্রথম তার ওপর
উঠলাম-
সে ছ্যাড়ছ্যাড়
করে পানি ছেড়ে দিল।
আমার মনের
অবস্থাটা বুঝেন! তার
পিছন
দিকে তাকালে পরিষ্কারভাবেই
একটা খাজ দেখা যেত।
আর সামনের দিকের
ছিদ্রটা যত দিন
যেতে লাগল ততই বড়
হতে লাগছিল। তবু
তাকে দিয়ে আমার কাজ
চলে যাচ্ছিল। কিন্তু
শহরের চার যুবক
এসে তার জীবন শেষ
করে দিল। এই চাইর
বদমাশ আসছিল একটু
ভালো সময় কাটানোর
জন্য।
শহরে ভালো কিছু
না পেয়ে এরা লিসাকেই
পছন্দ করে ফেলল।
আমি ত
লিসাকে ভাড়া দিতে রাজি না।
হাজার হোক
লিসা আমার। কিন্তু
হারামজাদাগুলা লিসার
জন্য
আমাকে টাকা সাধতে শুরু
করল। আমি জানি লিসার
ক্ষমতা নাই
একসাথে চারজনকে নেয়ার-
কিন্তু
ওরা টাকা দিয়ে আমাকে রাজি করিয়ে ফেলল।
একটু দীর্ঘশ্বাস
ফেলে জন বলল,
ওরা চারজন
একসাথে লিসার ওপর
চড়ে বসতেই লিসা শেষ
বারের মত
পানি ছেড়ে দিয়ে ……
শেষ হয়ে গেলো।
জনের কথা শেষ হতেই
বুড়ি মাথা ঘুরে পড়ে গেলো।
২.
বিদিশা বাইরে যাইবেন,
কিন্তু তার শখের লাল
প্যান্টিখান
পাইতেছেন না।
স্বাভাবিকভাবেই দোষ
পড়লো বুয়ার উপর।
তাকে চার্জ
করা হইলো। আরশাদের
বুয়া বলিয়া কথা।
সে ক্ষিপ্ত
হইয়া আরশাদের
কাছে ফরমাইলো “সাহেব !
বিবিসাব কয়
আমি নাকি হের
প্যান্টি চুরি করছি!
সাহেব
আপনি তো জানেন,
আমি নিচে কিছু
পড়িনা।”
৩.
এক পোস্টমাস্টার
গেছে দাওয়াত খাইতে,
কিন্তু
ভুলে বেচারা প্যান্টের
চেইন লাগায় নাই
পার্টিতে এক লোকের
তা দেইখা তো আক্কেল
গুড়ুম। সরাসরি তো আর
বলা যায়না যে চেইন
খোলা। তাই
সে কায়দা কইরা বলল,
ভাই, আপনার
পোস্টঅফিস তো খোলা।
কিন্তু
পোস্টমাস্টার
ইংগিতটা বুঝলো না,
সে কয়- না না ,
পোস্টঅফিসে আমি নিজের
হাতে তালা মাইরা আইছি।
খোলা না, বন্ধই আছে।
তো ঐ লোক যতই বোঝায়,
পোস্টমাস্টার
বুঝে না, কয় বন্ধ,
বন্ধ, নিশ্চয়ই বন্ধ।
তো লোকটা হাল
ছাইড়া দিয়া চইলা গেলো।
পরে পোস্টমাস্টার
বাসায় ফিরা দেখে তার
চেইন খোলা।
সাথে সাথে সে সব
বুঝলো,
বুইঝা তো পাইলো ব্যাপক
শরম। কিছুক্ষণ ঝিম
মাইরা থাইকা ফোন
করলো ঐ লোকটারে।
ফোন কইরা কয়- ভাই,
এইবার
আমি বুঝছি আপনি কি বুঝাইতে চাইছিলেন।
তা ভাই যখন
খোলা আছিলো, তখন
কি পোস্টমাস্টার
ভিতরে ছিলো নাকি বাইরে?